December 22, 2024, 9:23 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরসহ ১১টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলে তা অনুমোদন পায়। প্রকল্পটি চলতি মাস থেকে শুরু হয়ে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এটি বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৮ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
এর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক তরুণ বেকারকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
দেশের ৬৪ জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের অধীন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ১২টি জায়গায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে রাজশাহী ও নাটোরে আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরির কাজ শেষ হয়েছে।
এ লক্ষ্যে সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন বিষয়ক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়।
সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, জয়পুরহাটের কালাই, দিনাজপুর সদর, মানিকগঞ্জের শিবালয়, কিশোরগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ সদর, চাঁদপুরের মতলব, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ভোলা সদর, কুষ্টিয়া সদর ও মেহেরপুর সদর উপজেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তোলা হবে।
জানা যায়, এর আগে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীতে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প নিয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আরও ১১টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে দেশের ৬৪ জেলায় এই ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করা হবে। এ সেন্টারের মাধ্যমে হাজারো তরুণ প্রযুক্তিনির্ভর জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। দেশের সব জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হলে ২০৪১ সাল নাগাদ এখান থেকে প্রায় ১০ লাখ প্রশিক্ষণার্থীর প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং প্রায় ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।’
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমরা সব প্রকল্প তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করে হাতে নিই। এখান থেকে সৃষ্ট মানবসম্পদ হাই-টেক ও সফটওয়্যার পার্কগুলোর চাহিদা পূরণ করবে।’
Leave a Reply